শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২০ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা :
এবার পাবনার শহরে ব্যস্ততম আব্দুল হামিদ সড়কের পুরান ঢাকার নান্না বিরিয়ানী হাউজ থেকে কেনা বিরিয়ানির প্যাকেটে মরা টকিটিকি পাওয়া গেছে। এ ঘটনা বিভিন্ন ব্যাক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করে ঘৃনা জানিয়েছেন। এদিকে ভুক্তভোগি রুবেল সহ ঘটনাস্থলে থাকা ব্যাক্তিরা সাথে সাথেই ভোক্তা অধিকার সহকারী পরিচালক পাবনাকে অবহিত করলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি কর্তৃপক্ষ। ভুক্তভোগি রুবেল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ দিয়ে বলেন, তিনি নান্না বিরিয়ানি হাউজ থেকে মাঝে মধ্যেই পার্সেল নিয়ে যেতেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে তিনি হাফপ্লেট বিরিয়ানী নিয়ে বাসায় যান। এরপর প্যাকেট খুলে খাওয়ার সময় বিরিয়ানির নিচ থেকে গন্ধ বেরুতে থাকে। পরে খাবার নাড়াচারা করে দেখতে পান মরা টিকটিকি। তিনি সঙ্গে সঙ্গেই বিরিয়ানির প্যাকেটসহ পুরান ঢাকা নান্না বিরিয়ানি হাউজে এসে অভিযোগ করেন। এ সময় একজন, দুজন করে একাধিক ব্যাক্তি ওই বিরিয়ানি হাউজের সামনে জড়ো হতে থাকে। পরে পথচারীদের দাবির মুখে ডেকচিতে থাকা সব বিরিয়ানি মাটিতে ঢেলে ফেলা হয়।
এদিকে মালিকপক্ষ মো: সজিব হোসেন বলেন, একজন ব্যাক্তি গতকাল বিকালে আমাদের কাছ থেকে পার্সেল নিয়ে যায়। ওই ব্যাক্তি সন্ধার পর এসে আমাদের জানায়, পার্সেলের মধ্যে মরা টিকটিকি রয়েছে। পরে আমারা ওই ডেকচিতে থাকা সকল বিরিয়ানি ফেলে দেই।
পাবনা ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক মাহমুদ হাসান রনি মুঠোফোনে বলেন, গতকাল ঘটনাস্থল থেকে মোবাইলে আমাকে জানিয়েছে। লিখিত অভিযোগ না দেওয়ায় কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। তবে আগামীকাল পুরান ঢাকা নান্না বিরিয়ানি হাউজে গিয়ে আসল ঘটনা জানার চেষ্টা করবো।
এদিকে বিরিয়ানির মধ্যে টিকটিকি পাওয়ার পর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে গতকাল রাতেই পুরান ঢাকা নান্না বিরিয়ানি হাউজের মালিকপক্ষ দায়িত্বরত সকল কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করার অভিযোগ উঠে। ফলে ওই প্রতিষ্ঠানে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেনি কর্তৃপক্ষ।
বিগত ২০২২ সালের ২৮ আগষ্ট ‘পুরান ঢাকার নান্না বিরিয়ানি হাউজ’ নামের একটি রেস্টুরেন্টের বিরিয়ানি খেয়ে পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ৪০ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছিল। তাদের মধ্যে ১৫ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত রেস্টুরেন্টের মালিকের শাস্তি ও ভেজালমুক্ত খাদ্য পরিবেশনের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছিল। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা কলেজে ফিরে যায়।