রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩১ পূর্বাহ্ন

News Headline :
ইউপি চেয়ারম্যানের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের মাটি সরে গিয়ে দূর্ভোগে জনগণের সেবা দেওয়ার জন্যই সরকার আমাকে পাঠিয়েছেঃ-নওগাঁর নবাগত ডিসি রাজশাহীতে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে শুটার রুবেল পাবনায় সাংবাদিকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় করলেন নবাগত জেলা প্রশাসক মধুপুরে বৈষম্যবিরোধী ও কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে  বিএনপির দোয়া  মাহফিল অনুষ্ঠিত  পাবনার হেমায়েতপুরে কারামুক্ত বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংবর্ধনা ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধন বাঘাইছড়িতে বিএনপির দুই নেতা বহিষ্কার ডোমারে সীরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল অনুষ্ঠিত পাবনার সুজানগরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পথসভা অনুষ্ঠিত

রাজশাহীতে পুলিশের বিরুদ্ধে আসামির ১ লাখ ১৭ হাজার টাকা গায়েবের অভিযোগ

Reading Time: 2 minutes

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
মঈন উদ্দীন: রাজশাহীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে আসামির বাড়ি থেকে উদ্ধার করা ১ লাখ ১৭ হাজার টাকা পুলিশ গায়েব করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আসামির স্বজনদের দাবি, বাড়ি থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছিল ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। তবে জব্দ তালিকায় পুলিশ টাকার অংক দেখিয়েছে মাত্র ১৩ হাজার ৪০ টাকা। অভিযানে অংশ নেয়া পুলিশ সদস্যরা ভাগবাঁটোয়ারা করে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশের একটি দল বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের বহরমপুর এলাকার মো. সেন্টুর বাড়িতে এ অভিযান চালায়। সেন্টু একজন মাদকসেবী বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। পুলিশ সেন্টুর সঙ্গে তার স্ত্রী মিতা পারভীনকেও গ্রেপ্তার করে। পরে ৩০ গ্রাম হেরোইন ও ১০ পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার দেখিয়ে পুলিশ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করে। এরপর বিকালে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। মিতা ও সেন্টুর স্বজনদের দাবি, মিতা বেসরকারী সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে বাড়ির কাজ করছিলেন। বাড়িতে তার ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ছিল। পুলিশ এই টাকাও জব্দ করেছিল। কিন্তু মামলার জব্দ তালিকায় মাত্র ১৩ হাজার ৪০ টাকা দেখানো হয়েছে। বাকি টাকা অভিযানে অংশ নেওয়া উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল জলিল এবং সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মজনু মিয়া আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ গ্রেপ্তারকৃতদের স্বজনদের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইলে কোন মন্তব্য করতে চাননি এএসআই মজনু মিয়া। তিনি কথা বলার জন্য থানায় ডাকেন। এসআই আবদুল জলিল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্বাক্ষীদের সামনে জব্দ তালিকা করা হয়েছে। সাক্ষীরা সবই দেখেছে। এসব অভিযোগ করে লাভ নেই।
মামলায় তুষার ও কালাম নামের দুই নির্মাণ শ্রমিককে সাক্ষী করা হয়েছে। অভিযান চালানোর সময় তারা সেন্টুর বাড়িতেই কাজ করছিলেন। যোগাযোগ করা হলে তুষার বলেন, ঘর থেকে পুলিশ বেরিয়ে বলেছে হেরোইন ও ইয়াবা পাওয়া গেছে। তারপর কাগজে সই নিয়ে তাদের সাক্ষী করা হয়েছে। তবে হেরোইন ও ইয়াবা তিনি দেখেননি। কত টাকা উদ্ধার হয়েছে সেটিও পুলিশ দেখায়নি।
এ ব্যাপারে রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএসএম সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, সেন্টু মাদক ব্যবসা করে। তার বাড়ি থেকে হেরোইন ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। যে টাকা উদ্ধার হয়েছে সেটিই জব্দ তালিকায় দেখানো হয়েছে। আসামির স্বজনেরা এখন ১ লাখ ৩০ হাজার কেন, পাঁচ কোটি টাকা বলতে পারে। তারা এ কারণে বলছে যেন পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানকে বিতর্কিত করা যায়। তাহলে আর অভিযান হবে না।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com