রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৬ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাপাতালে চালু হলো মাইক্রোবায়োলজি(Microbiology) ল্যাব। রোববার থেকে রামেক হাসপাতালে এই ল্যাবের আনুষ্ঠানিক পথ চলা শুরু হলো। এখন থেকে রামেক হাসপাতালের রোগিদের অতিরিক্ত টাকা খরচ করে বাইরে জটিল ও কঠিন রোগের পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে না। এছাড়াও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদেরও এই Microbiology ল্যাব গবেষনায় কাজে লাগবে।রামেক হাসপাতালে মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবের যাত্রা শুরু হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা: আবু হেনা মোস্তফা কামাল তার ফেসবুক ওয়ালে আবেগ আপ্লুত হয়ে একটি পোস্ট করেছেন।তিনি লিখেছেন, রবিবার (২০ আগষ্ট) আমার স্বপ্ন পূরনের একটি দিন। উত্তরাঞ্চলের প্রথম সরকারী হাসপাতালে, যেখানে অত্যাধুনিক Microbiology ল্যাবের কার্যক্রম শুরু হলো রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আমার উদ্দ্যোগ ও নেতৃত্বে ২০১১ সালের ২ আগষ্ট ২ বেড দিয়ে আইসিইউ চালু হয় ডেডিকেটেড কোভিড আইসিইউ। ২০২২ সালে বয়স্কদের জন্য বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালে প্রথম ১১ শয্যার Geriatric ICU, রাজশাহীতে প্রথম ৪ শয্যার Pediatric ICU চালু করা হয়। আজ শুরু হলো Microbiology ল্যাব।২০২২ সালে তৎকালীন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা: শামীম ইয়াজদানী স্যারের সাথে এ ল্যাব প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা করি এবং সহায়তা কামনা করি। সে সময়ে অত্যাধুনিক VITEK ২ এবং Auto Blood Culture মেশিন আমার তত্বাবধানে নিয়ে আসা হলেও জায়গাসহ নানান জটিলতার কারণে চালু করা সম্ভব হচ্ছিল না।বর্তমান পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শামীম আহমেদ স্যার অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে বিষয়টি দেখেন এবং PWD বিভাগের মাধ্যমে নতুন আইসিইউ কমপ্লেক্সের নির্ধারিত ল্যাব রুমটি প্রস্তুত করার ব্যবস্থা করে দেন। সেখানেই আজ থেকে এর প্রশিক্ষণ শুরুর মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়ে গেলো।সরকারি হাসপাতালে নতুন কিছু করা খুব সুখকর নয়। তবু, আমি বিশ্বাস করি এটা অসম্ভব নয়। আমি সহায়তা পেয়েছি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের Microbiology বিভাগ, IEDCR ঢাকা এর অধ্যাপক ডা: জাকির, রামেক হাসপাতালের SSO ডা: সুলতানা (Microbiologist), রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালের IPC (Infection Prevention & Control) Unit নার্সিং কর্মকর্তা বৃন্দ, চডউ এর প্রকৌশলীবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছেই আমি কৃতজ্ঞ। সর্বোপরি, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে শুকরিয়া আদায় করছি, আমার মতো নগন্য এ বান্দাকে দিয়ে এত বড় একটি কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন।
এ ল্যাবকে সঠিক ও সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারলে, হাসপাতালের ভর্তি রোগীদের Antibiotics ব্যবহার সুনির্দিষ্ট হবে, রোগীর অর্থের সাশ্রয় হবে, রোগীদের হাসপাতালে অবস্থান কালীন সময় কমে যাবে। এ অত্যাধুনিক ল্যাব ব্যবহার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের আমার প্রিয় Post Graduate ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ রোগ জীবাণু নিয়ে গবেষণা করে দেশ ও জাতিকে দিক নির্দেশনা দিতে পারবে। এটাকে আরো আধুনিক ও সময়োপযোগী যন্ত্রপাতি দিয়ে সমৃদ্ধ করতে পারি, সেজন্য সকলের কাছে দোয়া ও সহায়তা কামনা করছি।