শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা:
পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলা ইউনিয়নের ১.২.৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা সংরক্ষিত আসনের সাবেক ইউপি সদস্য রুবিয়া খাতুন রোজিকে কুপিয়ে গুরত্বর জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। এসময় রোজি খাতুনের কাছে থাকা ৫ লাখ ৩৬ হাজার নগদ টাকা, স্বর্নালংকারসহ প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে গত সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধা ৭টার দিকে সদর উপজেলার আতাইকুলা থানার একদন্ত-পাবনা সড়কের জোয়ারদহ নামক স্থানে।
থানার এজাহার সুত্রে জানা যায়, আতাইকুলা থানার মৌগ্রামের মোঃ ইজিবর রহমানের ছেলে জিয়াউর রহমান জিয়ার স্ত্রী মোঃ রুবিয়া খাতুন রোজি আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত হাটের ইজারাদার। তিনি পর পর ৩বার একদন্ত হাট সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে পরিচালনা করিয়া আসিতেছে। চলতি অর্থ বছরে হাট ইজারা নেওয়ার পর থেকেই একই এলাকার মজনু খা’র ছেলে মানিক খাঁ ও তার চরমপন্থি সহযোগিরা রোজী খাতুনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। সন্ত্রাসীদের দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় ইতিপুর্বে গুরত্বর আহত রোজী খাতুনের দেবর ও ভাতিজাকে কুপিয়ে গুরত্বর জখম করে। এ ব্যাপাের আটঘরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। আটঘরিয়া থানার জি/আর মামলা নং-৭৩/২২। এরপর একই সন্ত্রাসীরা রোজীর শশুরকে কুপিয়ে ও গুলি করে গুরত্বর আহত করে। একই সময় আরো বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরতর জখম হয়। এসব ঘটনায় আতাইকুলা থানায় আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার নং- জিআর মামলা নং ১২৯/২২। উক্ত মামলাগুলো পরিচালনা করতেন সন্ত্রাসীদের হামলার গুরত্বর আহত সাবেক ইউপি সদস্য রুবিয়া খাতুন রোজি। ধারাবহিক হামলার ঘটনা ঘটতে থাকা অবস্থায় রুবিয়া খাতুন রোজি গত সোমবার হাট শেষে খাজনা আদায়ের টাকা নিয়ে পাবনার শহরের আটুয়ার নিজ বাড়িতে আসার সময় জোয়ারদহ নামক স্থানে সন্ত্রাসী হামলার শীকার হোন। আহত রোজির স্বামী জিয়া জানায়, ঘটনাস্থল থেকে আমার এক নিকট আত্মিয় আমাকে ফোন করে জানায়, চিহিৃত সন্ত্রসীরা মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে আমার স্ত্রী রোজিকে কুপিয়ে হত্যা করে রাস্তার উপর ফেলে রেখে চলে যায়। এ খবর শুনে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে প্রায় মৃত অবস্থায় আমার স্ত্রীকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি। আহত রোজির হাত-পা ভেঙ্গে যায়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় গুরত্বর আহত রোজীর স্বামী জিয়াউর রহমান বাদী হয়ে আতাইকুলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
গত ১ মাসের মধ্যে চিহিৃত সন্ত্রাসী মানিক খাঁ গংদের হামলায় রোজীর শশুর পরিবারের প্রায় ১০জন সদস্য আহত হওয়ায় পরিবারটি নিরাপত্তা হীনতাই ভুগছে। যে কোন সময় সন্ত্রাসীরা আহত রোজীর স্বামী জিয়াকেও খুন করতে পারে। আহত রোজীর দাবি প্রশাসনে দ্রুত হস্তক্ষেপের মাধ্যমে আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে পরিবারটিকে রক্ষা করতে পারে। তা না হলে যে কোন সময় জীবনহানির মত ঘটনা ঘটতে পারে।