রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
হারুন উর রশিদ সোহেল ,রংপুর :
কর কমিশন রংপুর অঞ্চলের নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতির মাধ্যমে প্রকৃত মেধাবীদের মূল্যায়ন করা হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন মাসুদ করিম নামে এক চাকরি প্রত্যাশী। নিয়োগ পরীক্ষায় বিভিন্ন চক্রের মাধ্যমে প্রক্সিসহ অনিয়ম হওয়া পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়েছে ওই পরীক্ষার্থী। গতকাল রোববার দুপুরে রংপুর নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলা হয়।
লিখিত বক্তব্যে মাসুদ করিম বলেন, কর অঞ্চল রংপুর এর নিয়োগ পরীক্ষা-২০১৮ এর অফিস সহায়ক পদে এবছরের ২১ মে এবং প্রধান সহকারী পদে ১০ জুন লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান সহকারী পদে লিখিত পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে আমার রোল নম্বর ছিল না। গত ১২ জুন অফিস সহায়ক পদে মৌখিক পরীক্ষা কর কমিশনারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভাইভা বোর্ড হাতের লেখা মিল না পাওয়ায় প্রক্সি দিতে আসা চারজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। কিন্তু ওই দিন রাতে সহকারি কর কমিশনার কর্তৃক তাদেরকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নেয়া হয়, যা উদ্বেগজনক।
কর অঞ্চলের সদ্য সমাপ্ত সকল পদের পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন ভাবে অনয়িম হয়েছে বলে অভিযোগ করেন এই যুবক। তিনি বলেন, কর কমিশনের নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। এ কারণে লিখিত পরীক্ষা ভালো দিয়েও তিনি উত্তীর্ণদের তালিকায় ছিলেন না। এই পরীক্ষায় প্রকৃত মেধাবীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রক্সি দিতে এসে আটক হওয়া চারজনের মধ্যে একজনের বড়ভাই বদরগঞ্জ পরিসংখ্যান ব্যুরো এবং আরেকজনের বড়ভাই গঙ্গাচড়া কৃষি অফিসে চাকরি করছেন। কোচিং সেন্টার পরিচালনার আড়ালে সিন্ডিকেট তৈরিসহ অসাধু পরীক্ষার্থীদের যোগসাজসে বিভিন্ন পরীক্ষায় এমন অনিয়ম দুর্নীতি হয়ে আসছে তারা।
এ ঘটনায় গত ১৫ জুন গঙ্গাচড়া মডেল থানায় চাকরি প্রত্যাশী এই যুবক একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এরপর থেকে বিভিন্ন মহলের হুমকি ধামকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানান তিনি।
এসব অভিযাগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রংপুর অঞ্চলের কর কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, ওই পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার ঘটনায় আটক চারজনকে আমরা থানায় সোপর্দ করেছিলাম। এরপর কি হয়েছে, তা আমার জানা নেই। তবে কর কমিশনারের কার্যালয় থেকে তাদের কাউকে ছাড়িয়ে দেয়া হয়নি। এঘটনায় কোনো আইনগত পদক্ষেপ নেননি বলেও জানান তিনি।