শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪১ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
এম এ লিতু-কালীগঞ্জ ঝিনাইদহ :
ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কে চলাচলকারী অবৈধ থ্রি-হুইলার থেকে মাসিক চুক্তিতে টাকা নেওয়াসহ ট্রাক থামিয়ে চা খাওয়ার জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বারবাজার হাইওয়ে থানার ওসির বিরুদ্ধে।এর কারণে মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও অবৈধ থ্রি-হুইলার চলাচল করায় বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা।
জানা গেছে, ঝিনাইদহের বিষয়খালী, কালীগঞ্জ, জীবননগর, কোটচাঁদপুর, বারবাজার, যশোর জেলার সাতমাইল, চুড়ামনকাঠি এলাকা নিয়ে বারবাজার হাইওয়ে থানা। মাসিক চুক্তিতে যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কে চলাচল করে অবৈধ থ্রি হুইলারগুলো।এসব টাকা আদায় করার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে স্থানীয় দালাল।দালালের মাধ্যমে থ্রি-হুইলার, ইজিবাইক, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, ইটভাটার ট্রাক, এ্যাম্বুলেন্স থেকে প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা আদায় করা হয়। রাতে বিভিন্ন ট্রাক সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেও গাড়ী প্রতি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা করে আদায়ের অভিযোগ পাওয়া যায়। চালকরা টাকা দিতে অনিহা প্রকাশ করলে মামলার ভয় দেখানো হয়। এছাড়াও চা খাওয়ার জন্য ট্রাক থামিয়ে টাকা নেওয়া হয় প্রতিনিয়ত।সড়কে চলাচল করা ইজিবাইক থামিয়ে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে আটকে রাখা হয়।এরপর টাকা নিয়ে সেগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়। মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনার জন্য হাইওয়ে পুলিশের ব্যাপক চাঁদাবাজিকেই দায়ী করছেন সচেতন মহল।অবৈধ এসব যানবাহন চলাচল বন্ধ হলে হাইওয়ে পুলিশের অবৈধ বাণিজ্য কমে যাবে।যেসব গাড়ির ফিটনেস ও কাগজপত্র নবায়ন নেই সেগুলো বন্ধ হলে দুর্ঘটনাও কমবে। ট্রাক ড্রাইভার মহিদুল ইসলাম জানান, তিনি সম্প্রতি ট্রাক চালিয়ে যশোর যাচ্ছিলেন।পথে কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার এলাকায় গতিরোধ করে বারবাজার হাইওয়ে থানা পুলিশ।এ সময় তার কাছে চা খাওয়ার জন্য টাকা দাবি করা হয়। তিনি ১০০ টাকা দিলে গাড়ি ছেড়ে দেয়। থ্রি হুইলারের চালক সেজে বারবাজার হাইওয়ে থানার পুলিশ সদস্য হেমায়েতের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি থ্রি-হুইলার থেকে মাসিক চুক্তিতে টাকা আদায় করেন।তিনি জানান,টাকা দিলে গাড়ি ধরবে কেন।গাড়ি প্রতি ৫০০ টাকা আমার জিপি নম্বরে বিকাশ করুন। অবৈধ থ্রি-হুইলারের টাকা আদায়কারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কালীগঞ্জ-যশোর সড়কে চলাচল করা সকল থ্রি-হুইলারের টাকা মাসিক হিসেবে বারবাজার হাইওয়ে থানায় দেওয়া হয়। এ সকল টাকা বারবাজার হাইওয়ে ওসিকে দেওয়া হয়।সএ্যাম্বুলেন্স চালক সিরাজ হোসেন জানান, এ্যাম্বুলেন্সগুলো সব মাসিক চুক্তি করা আছে।বারবাজার হাইওয়ে থানায় টাকা দিয়ে চালানো হয়।টাকা দিলে তেমন ঝামেলা করে না।বারবাজার হাইওয়ের এক পুলিশ সদস্যের কাছে তিনি সব এ্যাম্বুলেন্সের টাকা জমা দেন।
এ ব্যাপারে বারবাজার হাইওয়ে থানার ওসি মঞ্জুরুল আলম বলেন, তিনি ছুটিতে আছেন। চা খাওয়ার জন্য ১০০ টাকা নেওয়ার ব্যাপারটি জানালেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ। থ্রি-হুইলার, এ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন যানবাহনের মাসিক চুক্তিতে টাকা আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব বন্ধ।