বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
কামরুল হাসান,ময়মনসিংহ:
সালিমুল হকের ছেলে সাকিব হকের এক পেইসবুক পোষ্ট থেকে জানা যায়, ২৮ অক্টোবর রাত অনুমান ইউনাইটেড হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তনের দূরদর্শী সংগঠক অধ্যাপক সালিমুল হক চির নিদ্রায় নিদ্রিত হয়েছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। ২৯ অক্টোবর রবিবার আসর বাদ গুলশান সোসাইটি মসজিদে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।তিনি শুধু বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য কাজ করেননি, বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করে গেছেন। পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিদের সমন্বয়ে বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন। ব্রিটিশ সরকারের সন্মানজনক দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার উপাধি অর্জন করেছেন যা আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এই জন্য তাকে ব্রিটিশ বা বিলাতি বাংলাদেশী বিজ্ঞানী বলা হয়।সালিমুল হক ১৯৫২ খ্রীষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। ২০২২ খ্রীষ্টাব্দে বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার’স ঘোষিত শীর্ষ ১০ জন প্রভাবশালী বিজ্ঞানীর একজন নির্বাচিত হন। সালিমুল হক মূলত একজন উদ্ভিদ-জীববিজ্ঞানী। সালিমুল হক ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (আইইউবি) ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইক্যাড) পরিচালক এবং এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক।জাতিসংঘের নবগঠিত বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা বোর্ডে বাহ্যিক সদস্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশের অধ্যাপক সালিমুল হক। গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস তাঁর নিয়োগের ঘোষণা দেন।মিসরের শার্ম আল- শেখে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৭-এ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ধনী দেশগুলোর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ে চাপ তৈরিতে বিশেষ অবদান রাখেন সালিমুল হক। সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ও গরিব দেশগুলোর জন্য আর্থিক সহায়তা দিতে তহবিল গঠনে একটি চুক্তিতে সম্মত হয় বিশ্ব।