শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:০৮ পূর্বাহ্ন

News Headline :
পাবনা এলজিডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী বদলি ঘিরে বিতর্ক  কৃষকের সার সংকটে ভাঙ্গুড়ায় বিক্ষোভ রংপুর- আসনে বিএনপি সংসদ সদস্য প্রার্থী সামসুজ্জামান সামুর গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক  নওগাঁর পত্নীতলা ব্যাটালিয়ন (১৪ বিজিবি) পৃথক ভারতীয় ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট  সহ ২ জন আসামী আটক আগামী নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়াকে ধানের শীষ মার্কায় ভোট দিন…সাবেক এমপি লালু বগুড়ার গাবতলীতে আবারো ৩৯টি ককটেল উদ্ধার ও ধ্বংস, আতঙ্কে এলাকাবাসী সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অসহায় নেপালের অসুস্থ কন্যা ক্যান্সার রোগী নিশা’কে আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন সাবেক এমপি লালু বগুড়াতে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট আগের মত আবার ফিরবে—-তামিম পাবনার ভাঙ্গুড়ায় হাতের নাগালেই মাদক

চিকিৎসক সংকট: চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত ১০ হাজার মানুষ

Reading Time: < 1 minute

শেখ মোঃ ইব্রাহীম, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের জয়ধরকান্দি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে চিকিৎসক নেই। অধিকাংশ সময়ই কেন্দ্রটি তালাবদ্ধ থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু চিকিৎসক, পরিদর্শক ও ফার্মাসিস্ট না থাকায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ১০ হাজার মানুষ ।
একই এলাকার বাসিন্দা কামাল মিয়া বলেন, একজন বয়স্ক লোক মাঝে মধ্যে হাসপাতালে আসেন। অসুস্থ হলে আমরা তার কাছে ওষুধের জন্য যাই। তিনি ডাক্তার নাকি পিয়ন জানি না। তিনিই আমাদের ওষুধ দেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি অধিকাংশ সময়ই তালাবদ্ধ থাকে। মাঝে মধ্যে পিয়ন আনোয়ার হোসেন আসেন। তিনি তালা খোলেন। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে চরম ক্ষোভ। দেখলে মনে হয় যেন পরিত্যক্ত কোনো ভবন।পাকশিমুল ইউপি সদস্য সালাউদ্দিন বলেন, ইউনিয়নের ১০ হাজার মানুষের জন্য এটিই একমাত্র চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র। কিন্তু চিকিৎসক, পরিদর্শক ও ফার্মাসিস্ট না থাকায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকাবাসী। ডাক্তার না থাকলেও একজন পরিবার-পরিকল্পনা পরিদর্শিকা থাকলে মানুষ ন্যূনতম সেবাটুকু পেত। ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে ওই গ্রামের কেউ আমাকে বলেনি। স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে ডাক্তার নেই, আমি জানি না। দ্রæত খোঁজ নেওয়া হবে।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জয়ধরকান্দি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে দু’জন চিকিৎসকসহ মোট পদ আছে পাঁচটি। কিন্তু বর্তমানে শুধু একজন পিয়নই আছেন এখানে। বাকি পদগুলো শূন্য।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ নোমান মিয়া বলেন, একজন চিকিৎসক ছিলেন ওই কেন্দ্রে। করোনার সময় চিকিৎসক সংকটের কারণে আমরা তাকে উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসেছি। এখন পিয়ন আনোয়ার হোসেনই রোগীদের সাধারণ ওষুধ দিচ্ছেন। ওই কেন্দ্রের দুরবস্থার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই ব্যবস্থা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com