মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
নিজস্ব প্রতিবেদক।
কুষ্টিয়ায় পরোকিয়ার কারনে বলি হলো তরতাজা তিনটি জীবন। পুলিশের এক এএসআই নিজের পিস্তল দিয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে গুলি করে তার সাবেক স্ত্রী, আগের পক্ষের শিশু ছেলে ও স্ত্রীর বয়ফ্রেন্ডকে হত্যা করেছে। মোট ১১টি গুলি চালায় ওই এএসআই। এ ঘটনায় শহরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ওই এএসআই সোমেনকে গ্রেফতার করেছে।
বেলা পৌনে ১২টা। কুষ্টিয়া শহরের কাষ্টমমোড়ে নাজ ম্যানশন নামক একটি মার্কেটে বিকাশ এর দোকানে বিকাশেরই কর্মী বয়ফ্রেন্ড সাকিল খানের সাথে দেখা করতে আসে আসমা খাতুন (২৫)। এসময় আসমার সাথে তার শিশু ছেলে রবিনও ছিলো। হঠাৎ সেখানে আসমার সাবেক স্বামী পুলিশের এএসআই সোমেন। মার্কেটের ভেতরে প্রথমেই সে সাকিল ও সাবেক স্ত্রী আসমার উপর গুলি চালায়। এসময় আসমার শিশু ছেলে রবিন বাইরে পালিয়ে আসলে সোমেন তেড়ে এসে ওই শিশুকেও গুলি করে। পরে স্থানীয়রা ছুটে আসলে সোমেন শুন্যে গুলি করে ত্রাস সৃষ্টি করে। পরে লোকজন ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে তাকে থামানোর চেষ্টা করে। এ সময় খবর পেয়ে পুলিশও সেখানে পৌছে যায়। এক পর্যায়ে সোমেন ধরা দেয়। স্থানীয়রা তিনজনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে সবারই মৃত্যু হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে সোমেন কুষ্টিয়ার হালশা ক্যাম্পে থাকা অবস্থায় কুমারখালী উপজেলার সাওতা গ্রামের আসমার সাথে পরিচয় হয়। এরপর আসমার সাথে তার বিয়ে হয় বলে দাবী পুলিশের। পরে সোমেন (বর্তমান পোষ্টিং) খুলনার ফুলতলায় বদলি হলে আসমা তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আসমা তার বর্তমান বয়ফ্রেন্ড বিকাশ কর্মী সাকিলের সাথে সর্ম্পকে যুক্ত হলে ক্ষেপে যান সোমেন। এই বিরোধে সোমেন ক্ষিপ্ত হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ সোমেনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করছে।
পুলিশ সুপার খাইরুল আলম জানান এ ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে। স্থানীয় জনতাও সেখানে ভীড় করছে। তারা প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধান করে দোষীর বিরুদ্ধে দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।